খুড়োর কলে শুয়োরের পাল

কাল রাতে স্বপ্ন দেখছিলাম......।
পৃথিবীতে শুধু দুটো দেশ...।
একটা বেশ গাছপালা -মাঠ -খামারে ভরা দেশ...। সেখানে শুয়োর থাকে...।
আর একটা মরুভূমি টাইপের...। বালির উপরে বড় বড় বিল্ডিং...।
সেটা হট্টমালার দেশ। সেইখানে হাট্টিমা-টিম-টিমেরা থাকে...।

শুয়োরদের দেশে সবই পাওয়া যায়। যায় না শুধু গু। আর পাওয়া যাবেই বা কি করে। শুয়োররা তো নিজেদের গু নিজেরা খেতে পারে না......!
হাট্টিমা-টিম-টিম দের গু খেতে খুব ভাল...। শুয়োররা খুব পছন্দ করে...।
গু খেতে গেলে হাট্টিমা-টিম-টিম দের দেশে যেতে হবে...।
সবাই হাট্টিমা-টিম-টিমদের দেশে যেতে চায়......। সবাইকে তো নিয়ে যাওয়া যায় না...। হাট্টিমা-টিম-টিমরা তো কুইন্টাল কুইন্টাল হাগে না...।
প্রতেক বছর কিছু শুয়োরকে হাট্টিমা-টিম-টিম দের দেশে নিয়ে যাওয়া হয়...।
রীতিমত Competitive Exam এর মাধ্যমে সিলেক্ট করে।

শুয়োরদের দেশে বেড়াতে বেড়াতে দেখলাম একটা বিশাল খোঁয়াড়। সেখানে একপাল শুয়োর চরছে...। দৌড়াচ্ছে, ব্যায়াম করছে, কুস্তি করছে......।
আর গোটাদুই বড় শুয়োর লাঠি হাতে তদারকি করছে আর ব্যায়াম শেখাচ্ছে...।
আমি একটা বড় শুয়োরকে জিজ্ঞাসা করলাম...... “ফান্ডাটা কি স্যর? এত দৌড় করাচ্ছেন কেন মালগুলোকে?...”
“হেঃ হেঃ... হাট্টিমা-টিম-টিমরা তো কোন কাজ করতে পারে না...। শুধু খায় আর হাগে...। শুয়োর রা ওদের দেশে গিয়ে ওদের সব কাজ করে......। খাবার বানায়, গাড়ি টানে...ইত্যাদি ইত্যাদি...সেইজন্য শরীরটা শক্ত হওয়া চাই...। আর ওদের দেশে যাবার জন্য যে পরীক্ষাটা দিতে হয় সেটা পুরোটাই তো Physical Fitness Test…...।

“আচ্ছা স্যার, আপনাদের এই খোঁয়াড়ে যে শুয়োরগুলো আছে, সেগুলোকে আপনারা সিলেক্ট করেন কি করে...?”
“ঘেঁ ...ঘেঁ...। ছোট থেকেই ওদের বাবা মা ওদের লাথি মেরে ছোটায়। একটু শক্তপোক্ত হলে আমাদের এখানে এন্ট্রান্স টেস্ট দেয়। আমরা ওখান থেকে সিলেক্ট করি......।” তারপর এখানে কয়েক বছর ট্রেনিং এর পর হট্টমালার দেশের টেস্ট দেয়...। যারা পাস করে, তারা হট্টমালার দেশে গিয়ে হাট্টিমা-টিম-টিমদের গু খায়......।
বুঝলাম

তারপর আমি গেলাম হাট্টিমা-টিম-টিমদের দেশে। গিয়ে দেখলাম চারদিকে শুয়োরেরা কাজ করছে, আর গু খাচ্ছে। হাট্টিমা-টিম-টিমরা শুধু খায়, ঘুমায়, বেড়ায় আর হাগে......। শুয়োরগুলোকে A থেকে Z ছাব্বিশ ভাগে ভাগ করা হয়। প্রথমে যখন আসে তখন Z, আস্তে আস্তে যেমন কাজ করে তেমনি প্রমোশন হয়... Z থেকে A অবধি...। যত প্রমোশন হয় তত বেশী গু খেতে পায়...।
ঘুরতে ঘুরতে খুব আশ্চর্যের সঙ্গে আবিস্কার করলাম যে হাট্টিমা-টিম-টিমরা শুয়োরেরই মাংস খেয়ে বেঁচে থাকে......!!!

মাঝে মাঝেই হাট্টিমা-টিম-টিমরা শুয়োরগুলোকে দৌড়ানো করায়। নিয়ম থাকে যে তিন কি চারজন সবথেকে শেষে থাকবে তাদের কেটে খাওয়া হবে...। সবাই যতই দৌড়াক শেষে তো কয়েকজন থাকবেই......। তাদের বলা হয় incompetent বা অযোগ্য...। তাদের মেরে রান্না করে বাকি শুয়োরেরাই খাওয়ায় হাট্টিমা-টিম-টিমদের। আর ভাবে, যাক বাবা, আমরা তো বেঁচে গেলাম......।

যারা অনেকদিন টিকে যায় আর শেষ বয়সে বাড়ি ফিরতে চায় তাদের ট্রেনার (খোঁয়াড়ের মাস্টার) করে পাঠানো হয়...। তারা রোজ শুয়োরগুলোকে ট্রেনিং দেয় আর সকাল বিকেল গাওয়ায়......

“হাট্টিমা-টিম-টিম
তারা মাঠে পাড়ে ডিম
তাদের খাড়া দুটি শিং
তারা হাট্টিমা-টিম-টিম...”

Comments

Post a Comment

Popular Posts